Monday, May 30, 2011

নবী কি তার নিজের নাম পাল্টিয়ে ছিলেন?

ব্লগারদের অনেকেই দোজাহানের আশেষ নেকী হাছিল করেন এই প্রশ্ন করে যে টিপিকাল ধার্মিক চিন্তার বাইরে যারা চিন্তা করে কেন তার তাদের ইসলামিক নাম (?)পরিবর্তন করে না। এটুকুতেই শেষ নয়, তারা ইসলামিক নাম (?) পাল্টিয়ে হিন্দু নাম (?) রাখার পরামর্শ দিয়ে জিহাদী স্খলনসুখ অনুভব করেন।

বহুল প্রচারিত কথা যে হযরত মুহাম্মদ (স:) ইসলাম প্রচারের আগে আরবে আইয়ামে জাহেলিয়াত ছিলো। কাবাতে মূর্তিপূজা হতো। এরকম এক সময়ে যখন নবীর মা বা আত্মীয়রা যে নবীর নাম মুহাম্মদ রেখেছিলেন নিশ্চয় তা ইসলামিক ছিলো না, জাহেলি যুগের নামই ছিলো। ইসলাম প্রবর্তনের পর নিজের সমাজের প্রচলিত ধর্ম ব্যাখার বিরুদ্ধে তিনি যে নতুন ধর্ম চিন্তা করলেন তাতে কি তার নিজের নাম পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়েছে?

ব্লগে হোক আর সমাজে, যারা ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিরদের চেয়ে ভিন্নভাবে ধর্ম চিন্তা করেছে তাদের জন্ম এবং নাম রাখার প্রক্রিয়াটা এই সমাজেই হয়েছে। ধর্ম, রাজনীতি, ইতিহাস ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে বাবা-মায়েরা তাদের শিশু সন্তানের নাম রাখেন। শিশুর বড় হয়ে ওঠার পথে বাবা-মায়ের চিন্তার সাথে তার চিন্তার পার্থক্য হতেই পারে। এখন বাবা-মায়ের চেয়ে ভিন্ন বা সমাজের অনেকের চেয়ে ভিন্ন ধর্ম চিন্তা করলেই ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিররা যখন নাম পাল্টানোর দাবী তোলে, তখন কি তাদের নবীর কথা মনে পড়েনা?

Monday, March 7, 2011

নাস্তিক প্রফেসর বনাম আস্তিক ছাত্র !


ছাত্রঃ আচ্ছা স্যার, তাপ বলে কিছু আছে কি?

প্রফেসরঃ “আছে” বলতে তমি কি বোঝ? কোন কিছুর থাকা বলতে সেটার ইন্দ্রীয়গ্রাহ্য উপস্থিতিও হতে পারে আবার সেটা নিছক বিমূর্ত চিন্তা বা বৈশিষ্ট্যও হতে পারে। যেমন ধর দুনিয়ায় সততা “আছে।” আবার অসততাও “আছে”। সততার অনুপস্থিতিকে প্রকাশ করা হয় অসততা দিয়ে আবার অসততার অনুপস্থিতিকে প্রকাশ করা হয় সততা দিয়ে। এগুলো বিমূর্ত বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ অর্থে “আছে”। আবার দেখ কিবোর্ড “আছে”, সেটা মূর্ত ইন্দ্রীয়গ্রাহ্য বস্তু হিসেবে। তাপ একটা শক্তির নাম। সেই শক্তিকে ভাষায় প্রকাশার্থে তুমি “তাপ আছে” বলতে পার।

ছাত্রঃ ঠান্ডা ?

প্রফেসরঃ যদি তুমি বল গরম কি আছে? তাহলে হ্যা “আছে”। এই অর্থে যে তাপের পরিমাপক তাপমাত্রা যখন বেশি তখন “গরম আছে” আবার তাপমাত্রা যখন কম তখন “ঠান্ডা আছে”। এই “আছে” তাপের মাত্রাগত অবস্থার ধারণা প্রকাশার্থে ব্যবহৃত হয়েছে। তুমি বোধহয় তাপ এর সাথে গরমকে গুলিয়ে ফেলেছ।

ছাত্রঃ না স্যার এগুলির কোনটিই নেই।

প্রফেসরঃউপরের আলোচনা থেকে অন্তত তাপ, তাপমাত্রা, গরম আর ঠান্ডা এর পার্থক্য তো বুঝেছো! তাপ নেই সেটা ঠিক না। কিন্তু তুমি গরম নেই তা বলতে পার । খুলে বলি - কেতলির তাপমাত্রা আর তোমার শরীরে থাকা তাপমাত্রা যদি সমান হয় তাহলে তোমার কোন গরম লাগবেনা। তুমি বলতে পার “গরম নেই”। কিন্তু অবশ্যই তাপ আছে কেতলিতেও, তোমার শরীরেও। দেখ “গরম নেই”কেই আবার তুমি “ঠান্ডা আছে” বলতে পার।

ছাত্রঃ স্যার, আপনি অনেক ধরনের তাপ পেতে পারেন, কম তাপ, বেশী তাপ বা আরো বেশী, কিন্তু ঠান্ডা বলে কিছু নেই।আমরা ৪৫৮ ডিগ্রীর নীচে তাপমাত্রায় যেতে পারি না।তাপের অনুপস্থিতিকেই আমরা ঠান্ডা বলি। আমরা ঠান্ডা মাপি না, তাপই মাপি।তাপই শক্তি। ঠান্ডা আলাদা কিছু নয়, এটি তপের অনুপস্থিতি মাত্র।

(ক্লাসে উসখুস চলছে এই ভেবে যে প্রফেসর এত পাত্তা দিচ্ছেন কেন এসব বালখিল্যতায়)

প্রফেসরঃ আবারও ভুল বললে। তাপের অনুপস্থিতিকে আমরা ঠান্ডা বলিনা। তাপমাত্রা বেশি হলে গরম আর কম হলে ঠান্ডা বলি। আবার তুমি হয়তো এভাবে ভাবতে পার যে তাপ কমলে তাপমাত্রা কমবে ফলে তা ঠান্ডা হবে! ঠিক না। কারণ একটা গরম পানির জগে যে পরিমাণ তাপ আছে তা কমে যাবে যদি তা থেকে তুমি এক গ্লাস পানি সরিয়ে নাও। কিন্তু তাতে পানির তাপমাত্রাও কমবে না আর পানিকে তুমি “ঠান্ডা আছে” তাও বলতে পারবেনা।

ছাত্রঃ আচ্ছা স্যার, অন্ধকার কি? অন্ধকার বলে কিছু আছে কি ?

প্রফেসরঃ সেটা নির্ভর করছে তুমি আলো বলতে কি বোঝ তার উপর। আলো বলতে কিছু “আছে” কি? যদি বলো আলো বলতে কিছু “আছে”, তাহলে অন্ধকার বলতেও কিছু “আছে”। তাপমাত্রার বেশি বা কম কে যেমন গরম বা ঠান্ডা দিয়ে প্রকাশ করতে পার তেমনি বিকিরণের বেশি বা কমকে আলো বা অন্ধকার দিয়ে প্রকাশ করতে পার। “আছে” নিয়ে যদি তোমার আবার সমস্যা হয় তাহলে আবার শুরু থেকে পড়।

ছাত্রঃ আপনি আবার ভুল করলেন, প্রফেসর। অন্ধকার আলোর অনুপস্থিতি মাত্র। আপনি কম আলো, বেশী আলো ঝাপসা আলো, এসব বলতেই পারেন, কিন্তু কোন আলো না থাকলেই আমরা অন্ধকার বলি।আলো একবারেই না থাকলে অন্ধকারকে আরো তীব্র করা সম্ভব নয়।

প্রফেসরঃ ঠিক যেমন তুমি কম আলো, বেশী আলো এসব কে “আছে” বলতে পার ঠিক তেমনি বিকিরণের ঐসব অবস্থাকে যথাক্রমে বেশি অন্ধকার, কম অন্ধকার “আছে” দিয়েও প্রকাশ করতে পার।

ছাত্রঃ আমি আসলে আপনার ফিলোসফি থেকেই একটা সিদ্ধান্তে পৌছাতে চাচ্ছি।

প্রফেসরঃ কোন ফিলসফি? কি সিদ্ধান্ত?

ছাত্রঃ স্যার আপনি দৈত নীতি অনুসরণ করছেন।আপনি একই সাথে জন্ম মৃত্যু ভাল গড, খারাপ গড এর অস্তিত্বের যুক্তি দিচ্ছেন।আপনি গডকে সসীম পরিমাপযোগ্য রাশি মনে করছেন।স্যার বিজ্ঞান কখনও চিন্তা ও চেতনা কে পরিমাপ করতে পারেনা। বিজ্ঞান ইলেকট্রিসিটি ম্যাগনেটিজম ব্যবহার করে কিন্তু কখনও এগুলি ধেখা যায়না এবং খুব কমই অনুভব করা যায়।
এখন প্রফেসর,আপনি বলুন, আপনি কি আপনার ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেন যে, মানুষ বানর থেকে এসেছে?

প্রফেসরঃ না। বিবর্তনবাদ বলে না যে মানুষ বানর থেকে এসেছে বরং ডারউইনের গবেষণা অনু্যায়ী বানর ও মানুষের পূর্বপুরুষ একই।

ছাত্রঃ এই বিবর্তন কি আপনি চোখে দেখেছেন ?

(প্রফেসর আস্তে আস্তে বুঝতে পারছিলেন তর্কটি বরাবরের মতই কোন দিকে যাচ্ছে। প্রফেসর সেদিনও ক্লাসে এমন এক ছাত্রকে পেয়েছিলেন যে বলেছিলো, “যে নিজের চোখের রেটিনাই দেখেনি সে ঈশ্বরকে দেখবে কি করে”। বলা যেত যে নিজের এক চোখ চাকু দিয়ে তুলে নিলেই সে অন্য চোখ দিয়ে নিজের রেটিনা নিজেই দেখতে পারে। কিন্তু বাচ্চা কাচ্চা ছেলে বলে প্রফেসর আর অত কঠিন কথায় যাননি। আজও সেরকম একজনের সাথেই কথা চলছে)

প্রফেসরঃ না, মানুষের বিবর্তন তো আমার দেখার কথাও না।

ছাত্রঃ যেহেতু কেউ বিবর্তনবাদ কেউ দেখেনি এবং কেউ ল্যাবরেটরীতে প্রমাণও করতে পারেনি, তাহলে কি ধরে নেব আপনি শুধু আপনার বিশ্বাসটাই প্রচার করছেন।আপনি কি একজন বিজ্ঞানী নাকি একজন প্রচারক ?

(পুরো ক্লাস বিরক্তিতে কপাল কুঁচকালো)

প্রফেসরঃ দেখো, তুমি “জানো” যে গলা কেটে দিলে মানুষ মারা যায়। এটা কি বিশ্বাস? না, এটা “পরোক্ষ অভিজ্ঞতা”। আমরা ডারউইনের লেখা ও অন্যান্য বই থেকে জানি ডারউইনের তত্ত্ব সম্পর্কে। এই জানার সাথে বিবর্তনকে প্রতক্ষ্য করার প্রয়োজনীয়তা অবান্তর। ঠিক যেমন গলা কেটে দিলে মানুষ মারা যায় এটা জানার জন্য তোমার নিজের হাতে কারোর গলা কেটে দেবার প্রয়োজনীয়তা অবান্তর।

ছাত্রঃ এই ক্লাসে কি এমন কেউ আছো যে প্রফেসরের ব্রেইন দেখেছো?

(পুরো ক্লাস এবার চরম বিরক্তিতে একে অপরের দিকে তাকালো। প্রফেসর মনে মনে হাসলেন। তিনি যা ভেবেছিলেন ঠিক তাই হচ্ছে। তর্ক রেটিনাগামী!)

এই ক্লাসে কি এমন কেউ আছো যে প্রফেসরের ব্রেইন শুনেছো অনুভব করেছো, স্পর্শ করেছো অথবা স্বাদ গ্রহণ করেছো?
এমন কেউই নেই যে তা করেছে। সুতরাং বিজ্ঞানের স্বীকৃত নিয়ম অনুযায়ী প্রফেসরের কোন ব্রেইন নেই।

With all due respect, sir, how do we then trust your lectures, sir?

(পুরো ক্লাস এবার অধৈর্য হয়ে উঠলো। প্রফেসর এক পলক তাদের দিকে তাকিয়ে ইশারায় আশ্বস্ত করলেন যে কথাবার্তা এখনই শেষ হয়ে যাবে)

প্রফেসরঃআমি মনে করি “পরোক্ষ অভিজ্ঞতা”র ব্যাপারটা তুমি ভালভাবে খেয়াল করে শোননি। যাহোক, আমার ব্রেন আছে কি নেই সেটা বিশ্বাস না করলেও তোমার যে মেধা বলতে কিছুই নেই তা আমি জেনেছি। যে কারণে তুমি এতক্ষণ এই কুতর্ক করলে তার কারণ মানুষ হিসেবে তোমার ভেতরে থাকা অন্ধ বিশ্বাস, যা তোমার গোঁয়ারতুমিকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

ছাত্রঃ আমিও এটাই বলছিলাম, মানুষ এবং গডের মধ্যে সম্পর্কটা বিশ্বাসের।এটাই বিশ্বাসীদের বাচিয়ে রেখেছে। এবং গড অবশ্যই আছেন।



প্রসঙ্গঃ

সাইকোলজির প্রফেসরের (নাম বলছি না) আজ মেজাজ খুব ফরফুরে।প্রথম সারিতে একজন নতুন ছাত্র দেখে তিনি তাকে দাড় করালেন।
প্রফেসরঃ তুমি কি গড এ বিশ্বাস কর?
ছাত্রঃ অবশ্যই স্যার।
প্রফেসরঃ গড কি ভাল ?
ছাত্রঃ অবশ্যই
প্রফেসরঃ গড কি সর্বশক্তিমান?
অবশ্যই
প্রফেসরঃ আমার ভাই ক্যানসারে মারা গেছে যদিও সে গড এর কাছে নিরাময় চেয়েছিল। আমরা প্রায় সবাই অন্যের অসুখ বিসুখে সাহায্য করি, কিন্তু গড তা করেনি। এর পরও কি তুমি বলবে গড ভাল ?
ছাত্র নিশ্চুপ।
প্রফেসরঃ তোমার কোন উত্তর নেই তাইতো ? ওকে, এসো আমরা আবার শুরু করি।গড কি ভাল ?
ছাত্রঃ অবশ্যই
প্রফেসরঃ শয়তান কি ভাল ?
ছাত্রঃ না।
প্রফেসরঃ শয়তান কোথা থেকে এসেছে ?
ছাত্রঃ গড থেকে।
প্রফেসরঃ তাহলে বৎস, বল জগতে এভিল বলে কিছু আছে কি?
ছাত্রঃ জ্বী আছে।
প্রফেসরঃ এভিল সর্বত্রই আছে, তাইনা ? এবং গড সব কিছু তৈরী করেছে।
ছাত্রঃ জ্বী
প্রফেসরঃ তাহলে এভিল কে তৈরী করেছে?
ছাত্র নিশ্চুপ।
প্রফেসরঃ হিংসা, বিদ্বেষ, অসুস্থতা, মৃত্যু, এসব কিছই জগতে আছে, তাই নয় কি ?
ছাত্রঃ জ্বী।
প্রফেসরঃ এসব কে তৈরী করেছে ?
ছাত্র নিশ্চুপ।
প্রফেসরঃ বিজ্ঞান বলে যে, তোমার পাচটি ইন্দ্রিয় রয়েছে যা তুমি জগতের সব বস্তুকে সনাক্ত করতে ব্যবহার কর। এখন বল তুমি কি গডকে দেখেছ ?
ছাত্রঃ না স্যার।
প্রফেসরঃ তুমি কি গডের কথা শুনেছ?
ছাত্রঃ না স্যার।
প্রফেসরঃ তুমি কি গডের স্বাদ গন্ধ কখনও অনুভব করেছ ?
ছাত্রঃ না স্যার।
প্রফেসরঃ এর পরও কি তুমি গড কে বিশ্বাস কর ?
ছাত্রঃ জ্বী।
প্রফেসরঃ পরীক্ষাগারে ব প্রফেসরঃ বলো, অনুভবে বলো প্রদর্শনে বলো , বিজ্ঞান বলে গডের কোন অস্তিত্ব নেই। তুমি একে কি বলবে ?
ছাত্রঃ কিছুই না। আমার শুধু বিশ্বাস আছে।
প্রফেসরঃ হ্যা। এখানেই বিজ্ঞানের সমস্যা।
ছাত্রঃ আচ্ছা স্যার, তাপ বলে কিছু আছে কি?
প্রফেসরঃ হ্যা।
ছাত্রঃ ঠান্ডা ?
প্রফেসরঃ হ্যা।
ছাত্রঃ না স্যার এগুলির কোনটিই নেই।
(ঘটনার পট পরিবর্তনে সারা রুম চুপ হয়ে গেল।)
ছাত্রঃ স্যার, আপনি অনেক ধরনের তাপ পেতে পারেন, কম তাপ, বেশী তাপ বা আরো বেশী, কিন্তু ঠান্ডা বলে কিছু নেই।আমরা ৪৫৮ ডিগ্রীর নীচে তাপমাত্রায় যেতে পারি না।তাপের অনুপস্থিতিকেই আমরা ঠান্ডা বলি। আমরা ঠান্ডা মাপি না, তাপই মাপি।তাপই শক্তি। ঠান্ডা আলাদা কিছু নয়, এটি তপের অনুপস্থিতি মাত্র।
(ক্লাসরুমে তখন পিন পতন নীরবতা।)
ছাত্রঃ আচ্ছা স্যার, অন্ধকার কি?

অন্ধকার বলে কিছু আছে কি ?
প্রফেসরঃ অবশ্যই, অন্ধকার না থাকলে রাত আসে কিভাবে?
ছাত্রঃ আপনি আবার ভুল করলেন, প্রফেসর। অন্ধকার আলোর অনুপস্থিতি মাত্র। আপনি কম আলো, বেশী আলো ঝাপসা আলো, এসব বলতেই পারেন, কিন্তু কোন আলো না থাকলেই আমরা অন্ধকার বলি।আলো একবারেই না থাকলে অন্ধকারকে আরো তীব্র করা সম্ভব নয়।
প্রফেসরঃ এসব বলে তুমি কি বুঝাতে চায়ছো ?
ছাত্রঃ আমি আসলে আপনার ফিলোসফি থেকেই একটা সিদ্ধান্তে পৌছাতে চাচ্ছি।
প্রফেসরঃ কি সিদ্ধান্ত?
ছাত্রঃ স্যার আপনি দৈত নীতি অনুসরণ করছেন।আপনি একই সাথে জন্ম মৃত্যু ভাল গড, খারাপ গড এর অস্তিত্বের যুক্তি দিচ্ছেন।আপনি গডকে সসীম পরিমাপযোগ্য রাশি মনে করছেন।স্যার বিজ্ঞান কখনও চিন্তা ও চেতনা কে পরিমাপ করতে পারেনা। বিজ্ঞান ইলেকট্রিসিটি ম্যাগনেটিজম ব্যবহার করে কিন্তু কখনও এগুলি ধেখা যায়না এবং খুব কমই অনুভব করা যায়।
এখন প্রফেসর,আপনি বলুন, আপনি কি আপনার ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেন যে, মানুষ বানর থেকে এসেছে?
প্রফেসরঃ অবশ্যই । তুমি যদি জৈবণিক বিবর্তনবাদ দেখ তাহলে তো তাই স্বীকার করবে।
ছাত্রঃ এই বিবর্তন কি আপনি চোখে দেখেছেন ?
(প্রফেসর আস্তে আস্তে বুঝতে পারছিলেন তর্কটি কোন দিকে যাচ্ছে।)
যেহেতু কেউ বিবর্তনবাদ কেউ দেখেনি এবং কেউ ল্যাবরেটরীতে প্রমাণও করতে পারেনি, তাহলে কি ধরে নেব আপনি শুধু আপনার বিশ্বাসটাই প্রচার করছেন।আপনি কি একজন বিজ্ঞানী নাকি একজন প্রচারক ?
পুরো ক্লাস হঠাৎ হাসিতে ফেটে পড়ল।
ছাত্রঃ এই ক্লাসে কি এমন কেউ আছো যে প্রফেসরের ব্রেইন দেখেছো ?
পুরো ক্লাস আবার হাসিতে ফেটে পড়ল।
এই ক্লাসে কি এমন কেউ আছো যে প্রফেসরের ব্রেইন শুনেছো অনুভব করেছো, স্পর্শ করেছো অথবা স্বাদ গ্রহণ করেছো?
এমন কেউই নেই যে তা করেছে। সুতরাং বিজ্ঞানের স্বীকৃত নিয়ম অনুযায়ী প্রফেসরের কোন ব্রেইন নেই।
With all due respect, sir, how do we then trust your lectures, sir?
পুরো ক্লাস চুপ। প্রফেসর এক পলকে ছাত্রের দিকে তাকিয়ে রইল।
প্রফেসরঃ আমি মনে করি আমার ব্রেইনকে তোমার বিশ্বাস করা উচিত।
আমিও এটাই বলছিলাম, মানুষ এবং গডের মধ্যে সম্পর্কটা বিশ্বাসের।এটাই বিশ্বাসীদের বাচিয়ে রেখেছে।

উৎসঃ নাস্তিক প্রফেসর বনাম আস্তিক ছাত্র দেখুন কে কার হাতে নাস্তানাবুদ হয়।

আশরাফুল মাখলুকাত বনাম বেড়াল এবং মৃত্যর অবশ্যম্ভাবীতা ঘোষণার একমাত্র সূত্র

আর আপনি কি শুনেন নাই.... একটি বিড়াল ভুমিকম্পের পুর্বে তার মালিককে রক্ষা করেছিল...? আপনাদের বিজ্ঞান এখনো ভুমিকম্পের ১০০% সত্য পুর্বাভাস দেয়ার যন্ত্র আবিস্কার করতে পারে নাই। অতএব ... আমরা কি নিয়ে অহন্কার করব? সামান্য একটা বিড়াল যে জ্ঞানের অধিকারী আমরা তো এখনো সেই জ্ঞানটুও অর্জন করতে পারি নাই!!

- তাহলে বোঝা গেল যে তিনি আমাদের “আশরাফুল মাখলুকাত” হিসেবে সৃষ্টি করেননি। সামান্য বেড়ালের কাছে হার!


আজকে এই পৃথিবীর অন্য ধর্মাবলম্বীরা যদি ইসলাম এবং কোরআন না মানে তবু পবিত্র কোরআনের একটি কথাকে তাদের মানতেই হয়- যা হলো: কুল্লু নাফসিন যয়িকাতুল মাউত” অর্থাত- প্রত্যেক জীবনকেই মরনের স্বাধ ভোগ করতে হবে।

- Just as man is destined to die once, and after that to face judgment, Hebrews 9:27


For certain is death for the born
And certain is birth for the dead;
Therefore over the inevitable
Thou shouldst not grieve. - Bhagavad Gita, 2:27


উৎসঃ ১৪০০ বছরের পুরাতন ধর্ম বনাম আধুনিক বিজ্ঞানের অহঙ্কার...

রোজা তে প্রকাশ্যে খাওয়া না খাওয়া প্রসঙ্গে

অনেক রোজাদারই আছেন যারা জোর করে অন্যের খাওয়া বন্ধ করে দেয়াটা নিজের হাতে করবেননা। তাদের কাছে "ভালবেসে কাছে টেনে" না খাওয়ার অভ্যাস করানোটাই কাম্য। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যখন ৯০ - ৯৫ পার্সেন্টের দোহাই দিয়ে হুংকার দেবে কোন পক্ষ, তখন তারা নিশ্চুপ থাকবেন। যখন জোর করে খাওয়া বন্ধ রাখার ব্যাপার সামনে চলে আসে তখন নিজেরদেরকে দায়মুক্ত করাটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য হয়ে ওঠে। সামনে চলে আসে সংখ্যাগরিষ্ঠ কাস্টমারের অনুপস্থিতির কারণে হোটেল বন্ধ রাখার অযুহাত।

হোটেল বন্ধ রাখা , চায়ের দোকানে কাপড় টাঙ্গিয়ে অবৈধ জনিস খাওয়ার মত করে চা খাওয়া ইত্যাদি ব্যাপার, যারা রোজা রাখেনা তাদের উপর যে চাপিয়ে দেয়া সেটা নির্বিবাদীরা(?) বুঝতে চাননা। এই হোটেল বন্ধ রাখা, চায়ের দোকানের বোরখা পরার পেছনে প্রচ্ছন্ন ভীতি কাজ করে। রোজাতে হোটেলে খাওয়া বন্ধের হুংকার বহুবার দেখেছি -

১১ দফা দাবির মধ্যে আরো রয়েছে-দিনের বেলায় হোটেল রেঁস্তোরা এবং পানাহার বন্ধ

পবিত্র রমজানে দিনের বেলা হোটেল রেস্তোঁরা বন্ধ রাখার আহবান


প্রকাশ্যে হোটেল- রেস্তোরা, কফি হাউজসমূহ দিনের বেলায় বন্ধ রাখার ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ হাতে নিয়ে মাহে রমযানের ঐতিহ্য রক্ষার কর্মসূচি হাতে নিন।

দিনের বেলা হোটেল বন্ধ রাখার আহ্বান


ব্লগারদের অনেকে একটা ডিলেমার ভেতরে আছেন। একদিকে এই ধরণের ঘোষণা তাদের কাছে ভাল লাগে এই কথা ভেবে যে এতে নগ্ন নারী দেখে আমেরিকান রোজাদারের যে কষ্ট হয় তা একরকম ব্যালেন্স হল - ঐদিকে রোজাদার কষ্ট পেল, এইদিকে বেরোজাদার কষ্ট পেল, সমান সমান। । অন্যদিকে নিজে সংযমের পরীক্ষায় নেমে অনিচ্ছুকদেরও জোর করে সংযম করানোর দায়ভার তারা নিতে চাননা।

প্রকাশ্যে খাদ্য গ্রহণ তো "কালেক্টিভ সাইকোলজিকে সম্মান দেখানো" এর সাথে সংঘাতপূর্ণ কিছু না। বরং যে কালেক্টিভিটির দোহাই দেয়া হচ্ছে তার ইললজিকাল সাইকোলজি দাবী করছে যে আমি খাবো না তোমাকেও খেতে দেবনা। কেন? ৯০% ... ৯৫%... । আমেরিকান রোজাদার কি সারা দিন না খেয়ে থেকে ওখানকার কালেক্টিভ সাইকোলজিকে অসম্মান করছেন?


সংযমের পরীক্ষায় যে অবতীর্ণ হয়েছে, সকাল ১০টায় হোটেলের ভেতরের খাবার অন্য কেউ খেলে তার কষ্ট হয়। কিন্তু দুপুরের পর থেকে ইফতারির আগ পর্যন্ত প্রকাশ্যে ইফতারির খাবার সাজানো থাকলেও তার কষ্ট হয়না। কেন? কারণ সকালেরটা তার জন্য ছিলোনা, পরেরটা তার জন্য। কালেক্টিভ স্বার্থপরতা?


যিনি রোজা রেখেছেন, যিনি উপবাস করছেন, যিনি ফাস্টিং করছেন সবার জন্য শুভকামনা যতক্ষণ না পর্যন্ত না তিনি নিজে বা কালেক্টিভলি নিজের ইচ্ছাকে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা না করছেন।


উৎসঃ রমজানে কি মুসলমানেরা অন্যদেরকে উপোস থাকতে বাধ্য করতে পারে?

প্রাসঙ্গিকঃ

এক্স বলেছেন: ...কালেক্টিভ সাইকোলজিকে সম্মান দেখানো আপনার জন্য খুবই ফরয কারন আপনি গনতান্ত্রিক দেশে বাস করেন, কাজেই জনগনের কালেক্টিভ অনুভূতিকে সম্মান জানানো উচিত. কারন মার্কিন দেশে নগ্ন মেয়েদের দেখে একজন মুসলমানও ঠিক আপনার মতই চিন্তা করে. কিন্তু আপনার পেইন মাত্র ১ মাসের জন্য আর তাদের পেইন পার্পিচুয়াল...

মাহমুদ সিএসই বলেছেন: রোজা রাখা, না রাখা আপনার ইচ্ছা। তবে ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোন থেকে চিন্তা করলে এই মাসে অধিকাংশ মুসলমান রোজা রাখে বিধায় অনেক ব্যবসায়ী ক্রেতার অভাবে রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখেন। ...