অনেক রোজাদারই আছেন যারা জোর করে অন্যের খাওয়া বন্ধ করে দেয়াটা নিজের হাতে করবেননা। তাদের কাছে "ভালবেসে কাছে টেনে" না খাওয়ার অভ্যাস করানোটাই কাম্য। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যখন ৯০ - ৯৫ পার্সেন্টের দোহাই দিয়ে হুংকার দেবে কোন পক্ষ, তখন তারা নিশ্চুপ থাকবেন। যখন জোর করে খাওয়া বন্ধ রাখার ব্যাপার সামনে চলে আসে তখন নিজেরদেরকে দায়মুক্ত করাটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য হয়ে ওঠে। সামনে চলে আসে সংখ্যাগরিষ্ঠ কাস্টমারের অনুপস্থিতির কারণে হোটেল বন্ধ রাখার অযুহাত।
হোটেল বন্ধ রাখা , চায়ের দোকানে কাপড় টাঙ্গিয়ে অবৈধ জনিস খাওয়ার মত করে চা খাওয়া ইত্যাদি ব্যাপার, যারা রোজা রাখেনা তাদের উপর যে চাপিয়ে দেয়া সেটা নির্বিবাদীরা(?) বুঝতে চাননা। এই হোটেল বন্ধ রাখা, চায়ের দোকানের বোরখা পরার পেছনে প্রচ্ছন্ন ভীতি কাজ করে। রোজাতে হোটেলে খাওয়া বন্ধের হুংকার বহুবার দেখেছি -
১১ দফা দাবির মধ্যে আরো রয়েছে-দিনের বেলায় হোটেল রেঁস্তোরা এবং পানাহার বন্ধ
পবিত্র রমজানে দিনের বেলা হোটেল রেস্তোঁরা বন্ধ রাখার আহবান
প্রকাশ্যে হোটেল- রেস্তোরা, কফি হাউজসমূহ দিনের বেলায় বন্ধ রাখার ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ হাতে নিয়ে মাহে রমযানের ঐতিহ্য রক্ষার কর্মসূচি হাতে নিন।
দিনের বেলা হোটেল বন্ধ রাখার আহ্বান
ব্লগারদের অনেকে একটা ডিলেমার ভেতরে আছেন। একদিকে এই ধরণের ঘোষণা তাদের কাছে ভাল লাগে এই কথা ভেবে যে এতে নগ্ন নারী দেখে আমেরিকান রোজাদারের যে কষ্ট হয় তা একরকম ব্যালেন্স হল - ঐদিকে রোজাদার কষ্ট পেল, এইদিকে বেরোজাদার কষ্ট পেল, সমান সমান। । অন্যদিকে নিজে সংযমের পরীক্ষায় নেমে অনিচ্ছুকদেরও জোর করে সংযম করানোর দায়ভার তারা নিতে চাননা।
প্রকাশ্যে খাদ্য গ্রহণ তো "কালেক্টিভ সাইকোলজিকে সম্মান দেখানো" এর সাথে সংঘাতপূর্ণ কিছু না। বরং যে কালেক্টিভিটির দোহাই দেয়া হচ্ছে তার ইললজিকাল সাইকোলজি দাবী করছে যে আমি খাবো না তোমাকেও খেতে দেবনা। কেন? ৯০% ... ৯৫%... । আমেরিকান রোজাদার কি সারা দিন না খেয়ে থেকে ওখানকার কালেক্টিভ সাইকোলজিকে অসম্মান করছেন?
সংযমের পরীক্ষায় যে অবতীর্ণ হয়েছে, সকাল ১০টায় হোটেলের ভেতরের খাবার অন্য কেউ খেলে তার কষ্ট হয়। কিন্তু দুপুরের পর থেকে ইফতারির আগ পর্যন্ত প্রকাশ্যে ইফতারির খাবার সাজানো থাকলেও তার কষ্ট হয়না। কেন? কারণ সকালেরটা তার জন্য ছিলোনা, পরেরটা তার জন্য। কালেক্টিভ স্বার্থপরতা?
যিনি রোজা রেখেছেন, যিনি উপবাস করছেন, যিনি ফাস্টিং করছেন সবার জন্য শুভকামনা যতক্ষণ না পর্যন্ত না তিনি নিজে বা কালেক্টিভলি নিজের ইচ্ছাকে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা না করছেন।
উৎসঃ রমজানে কি মুসলমানেরা অন্যদেরকে উপোস থাকতে বাধ্য করতে পারে?
প্রাসঙ্গিকঃ
এক্স বলেছেন: ...কালেক্টিভ সাইকোলজিকে সম্মান দেখানো আপনার জন্য খুবই ফরয কারন আপনি গনতান্ত্রিক দেশে বাস করেন, কাজেই জনগনের কালেক্টিভ অনুভূতিকে সম্মান জানানো উচিত. কারন মার্কিন দেশে নগ্ন মেয়েদের দেখে একজন মুসলমানও ঠিক আপনার মতই চিন্তা করে. কিন্তু আপনার পেইন মাত্র ১ মাসের জন্য আর তাদের পেইন পার্পিচুয়াল...
মাহমুদ সিএসই বলেছেন: রোজা রাখা, না রাখা আপনার ইচ্ছা। তবে ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোন থেকে চিন্তা করলে এই মাসে অধিকাংশ মুসলমান রোজা রাখে বিধায় অনেক ব্যবসায়ী ক্রেতার অভাবে রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখেন। ...
No comments:
Post a Comment